পাকিস্তান এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রক মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা গণতন্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নেবে।
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসন ১২০টি দেশ, সুশীল সমাজের সংগঠন ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাম্বিয়া ও নেদারল্যান্ডস।
ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে ওয়াশিংটনকে এই আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানানো হলেও, যোগদান না করার কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে সমালোচকেরা দীর্ঘদিনের মিত্র চীনকে এ সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়াকে পাকিস্তানের যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হিসেবে মনে করছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাইডেন আয়োজিত প্রথম সম্মেলনেও যোগ দেয়নি পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র ডন বলেছে, ইসলামাবাদ তাদের “সবসময়ের বন্ধু” বেইজিংকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না। পাকিস্তানের অপর ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ককেও ওয়াশিংটনের এ সম্মেলনে ডাকা হয়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্মেলনের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র ও সম্মেলনের সহ আয়োজকদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নীতি ও মূল্যবোধের প্রচার ও এগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মানবাধিকার রক্ষা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্যোগকে আরও সামনে এগিয়ে নেবে”।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বকে বিশেষ মূল্য দেয়।
“বাইডেন প্রশাসনের অধীনে এ সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য আকারে সম্প্রসারিত হয়েছে”।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্মেলন এমন এক সময় আয়োজিত হচ্ছে, যখন শেহবাজ শরীফের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ দমন, বাকস্বাধীনতা হরণ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের আগাম নির্বাচনের দাবির বিরুদ্ধে আগ্রাসী আচরণের অভিযোগ এসেছে।
পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন বিরোধী দলগুলোর অভিযোগকে সমর্থন দিয়েছে।
সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইসলামাবাদে কোনো দল, সংগঠন বা ব্যক্তির সমাবেশ ও জমায়েতের লাইভ বা রেকর্ড করা ফুটেজ না দেখানোর জন্য টিভি স্টেশনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।