অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি; বৈঠকের ব্যাপারে চীনের হুঁশিয়ারি


নিউইয়র্কের একটি হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ২৯ মার্চ ২০২৩।
নিউইয়র্কের একটি হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ২৯ মার্চ ২০২৩।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তাঁর মধ্য আমেরিকা সফরের যাত্রাপথে বুধবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তিনি বলেছেন, বাইরের কোনো চাপ তাইওয়ানকে বিশ্বের সঙ্গে জড়িত থাকার পথে বাধা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ (প্রতিনিধি পরিষদ) স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যদি বৈঠক করেন সে ক্ষেত্রে চীন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিলে সাই ইং-ওয়েন এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদেরকে সাইয়ের সঙ্গে বৈঠক না করার জন্য বারবার সতর্ক করেছে। ২০১৯ সালের পর এটিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে সাইয়ের যাত্রাবিরতি। তাঁর এই সফরকে একটি পৃথক দেশ হিসেবে তাইওয়ানের আকাঙ্খার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত অগাস্টে যখন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপে সফর করেছিলেন, সে সময় চীন তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করেছিল। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, সাই বিদেশে থাকা অবস্থায় তারা চীনের যেকোনো পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছে।

তাইওয়ানকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে দুটি হলো গুয়াতেমালা ও বেলিজ। এ দুটি দেশে সফরে যাচ্ছেন সাই। তিনি শনিবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত নিউইয়র্কে থাকবেন এবং মধ্য আমেরিকা থেকে ফিরে লস অ্যাঞ্জেলেসে যাবেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

তাইওয়ান হলো চীনের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ভূখণ্ডগত ইস্যু এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের বিরোধের সবচেয়ে বড় একটি কারণ। ওয়াশিংটন বেশির ভাগ দেশের মতো তাইপের সঙ্গে শুধু অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার ব্যাপারে সহায়তা করবে।

XS
SM
MD
LG