ডনাল্ড ট্রাম্প হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প দুই বার অভিশংসিত হয়েছেন; কিন্তু তার কোনো শাস্তি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক পদক্ষেপে, নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে তার ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় একজন পর্নো তারকাকে অর্থ প্রদানের সাথে সম্পর্কিত অভিযোগে অভিযুক্ত করার জন্য ভোট দিয়েছে।
তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি এখনো গোপন অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী অপরাধ ও কয়টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সিএনএন জানিয়েছে এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকা এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
রিপাবলিকান হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ব্র্যাগকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ আনেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে, প্রতিনিধি পরিষদের এই প্রসিকিউটর-কে নিবৃত করবে এবং তার “ক্ষমতার নজিরবিহীন অপব্যবহারকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”
অন্যান্য রিপাবলিকান, বিশেষ করে যারা ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ নন, তারা-ও একই ভাবে এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।
গোপন অর্থপ্রদানের ঘটনাটি ২০১৮ সালের শুরুর দিকে প্রকাশ পায়। কোহেন তার প্রাক্তন বসের বিরুদ্ধে গিয়ে ২০১৮ সালের আগস্টে সাক্ষ্য দেন যে, ট্রাম্পের নির্দেশে তিনি ঐ পর্ণো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন; যাতে তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কের কথা চেপে যান। ট্রাম্প পরে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন।ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান পরে এই আইনী সহায়তার জন্য কোহেনকে সেই অর্থ ফেরত দেয়।
গোপন অর্থপ্রদানের অভিযোগই একমাত্র ফৌজদারি মামলা নয়, যার সম্মুখীন এই প্রেসিডেন্ট ।
জর্জিয়ায় প্রসিকিউটররা ঐ অঙ্গরাজ্যে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট কারণে ফৌজদারি অভিযোগ আনার কথা বিবেচনা করছেন। জর্জিয়াতে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে অল্প ব্যবধানে হেরে যান।