বাংলাদেশের সুন্দরবনে শনিবার (১ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে মধু আহরণ মৌসুম। দুপুর ১২টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় মধু আহরণের মধ্য দিয়ে মধু মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে মৌয়ালদের প্রশিক্ষণের পর মধু আহরণের অনুমতিপত্র (পাস) দেয়া হয়। এই পাস নিয়ে মৌয়ালরা গভীর বনে যাবেন মধু সংগ্রহ করতে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, সুন্দরবনে নির্বিঘ্নে মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য মৌয়ালদের সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, এ বছর সুন্দরবনে তিন হাজার কুইন্টাল বা তিন লাখ কেজি মধু ও ৮০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১ সালের মধু ও মোম আহরণের জন্য এক হাজার ১২টি অনুমতিপত্র (পাস) দেয়া হয়। এসব অনুমতিপত্রের বিপরীতে ছয় হাজার ৭৯৭ জন মৌয়াল সুন্দরবনে যান। তারা তিন হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯০ টন মধু ও ১১৩ দশমিক ০৯ টন মোম আহরণ করেন। আর মধু থেকে ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৩ টাকা ও মোম থেকে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং মোম থেকে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা। ঐ বছর সুন্দরবন থেকে দুই হাজার ৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম পাওয়া যায়।