তানজানিয়ার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সে দেশের প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের ভূয়সী প্রশংসা করছে দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার, তানজানিয়ার প্রধান শহর এবং বাণিজ্যিক বন্দর দার এস সালামে, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান করেন হ্যারিস।
এরপর, দার এস সালাম স্টেট হাউজে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিস, প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসানের ভূয়োসী প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি বলেন, "এই দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ক্ষেত্রে আপনি নিঃসন্দেহে চ্যাম্পিয়ন এবং সেইভাবে আমাদের অংশীদারিত্বকে ব্যাপক সম্প্রসারিত করেছেন। আর তাই, আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।"
যুক্তরাষ্ট্র এবং তানজানিয়া, সুশাসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১০ কোটি ডলারের পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, হাসান তার প্রয়াত পূর্বসূরি জন মাগুফুলির নীতি থেকে সরে এসেছেন। সমালোচকরা বলে আসছিলেন, মাগুফুলি তাঁর শাসন আমলে দেশটির বিরোধী দল এবং সকল প্রকার ভিন্নমতকে দমন করেছিলেন।
ক্ষমতায় আসার পর হাসান সংবাদপত্রের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, রাজনৈতিক সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটিয়েছেন এবং সম্প্রতি প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে বলেন, তিনি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, "গ্রহণযোগ্য একটি গণতান্ত্রিক অবকাঠামো গড়ে তোলা আমার সরকারের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।" তিনি আরও বলেন, "আমরা এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, যেখানে সবাই স্বচ্ছতা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।"
হ্যারিস শুক্রবার তানজানিয়া ছেড়ে জাম্বিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর, সেখান থেকে ঘানায় অবতরণের মধ্য দিয়ে এ যাত্রায় তাঁর তিনটি আফ্রিকান দেশ সফরের যবনিকাপাত হবে।