বাংলাদেশ মার্চ মাসে ২০২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিলো ১৫৬ কোটি ডলার। মার্চের প্রবাহ আগের মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় এই অঙ্ক ৪ দশমিক আট শতাংশ বেশি।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে। এর আগে, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি আমদানিকারকদের এলসি খোলার উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “রেমিট্যান্সের জন্য আড়াই শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনা দিচ্ছে।”
বৈধ চ্যানেলে পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য প্রাপকদের কোন চার্জ বা ফি দিতে হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা অনুমান করে যে প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি এখনো অননুমোদিত চ্যানেলে (হুন্ডি) আসছে।