অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফাঁকির প্রবণতায় প্রতি বছর ৮৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ: সিপিডি


সিপিডি
সিপিডি

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনিয়ম, প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতা এবং কর ফাঁকির প্রবণতার কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) সিপিডি তাদের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার ফল উপস্থাপন করে।সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না।

গবেষণাটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে “কর্পোরেট ট্যাক্স ট্রান্সপারেন্সি ইস্যুস অ্যান্ড কনসার্নস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস অন ট্যাক্স লস অ্যান্ড সোশ্যাল স্পেন্ডিং।” প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

মোয়াজ্জেম বলেন, “করযোগ্য আয় করেও ৬৮ শতাংশ মানুষ আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেয়ার যোগ্য থাকা সত্ত্বেও, কর দেন না। কর-জিডিপি অনুপাত না বাড়ার এটাই বড় কারণ।”

অন্যদিকে, দুই লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি নিবন্ধিত হলেও, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আয়তন জিডিপির ৩০ শতাংশ। ২০১০ সালে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে করের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২১ সালে বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।” এখাতে বাংলাদেশ প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারায়।”

গবেষণায় বলা হয়েছে, এ অর্থ অন্তর্ভুক্ত হলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় তিনগুণ হতে পারে। অর্থাৎ কর পরিধি বৃদ্ধির প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। মোয়াজ্জেম আরও বলেন, “একটি বড় অংশ করের বাইরে রয়ে গেছে, যার ফলে কর ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে।”

XS
SM
MD
LG