অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহায়তা করবে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহায়তা করবে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি ইতিমধ্যে আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করব। কার কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আমরা মূল্যায়ন করব”।

পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের দেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা গ্রহণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অগ্নিকাণ্ডকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এত ব্যবসায়ীর দুর্ভোগ ও কান্না সহ্য করা অসম্ভব।

তিনি বলেন, ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকার সেখানে পরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু বেশ কিছু লোক এতে বাধা দিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং পরে হাইকোর্ট প্রকল্পটি স্থগিত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, “সে সময় যদি প্রকল্পটি স্থগিত না থাকত, তাহলে আমরা একটি ভালো মার্কেট তৈরি করতে পারতাম এবং এখন এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত না”।

তবে প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের আশপাশে হামলাকারী বেশ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি তাদের আচরণ তাঁকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আগুন লাগার পরপরই দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে লেগে পড়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য বা যানবাহন অথবা অন্য সরকারি সম্পত্তিতে হামলা করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

XS
SM
MD
LG