প্রথম দুই কিস্তিতে সরকারকে দেওয়া ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবনে শেখ হাসিনার কাছে এই চেক হস্তান্তর করেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে এই ঋণ নেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এই সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ ত্বরান্বিত করবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য ১ হাজার কোটি টাকাসহ)।
এ ছাড়া নদী শাসন কাজের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অ্যাপ্রোচ রোড (দুটি টোল প্লাজাসহ থানা ও তিনটি সার্ভিস এলাকার জন্য দুটি ভবন নির্মাণ), বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে (প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট) ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু ১০০ বছরের বেশি স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় পরিশোধিত হবে।
