উন্নতমানের কম্পিউটার চিপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় ক্ষুব্ধ চীনের নেতারা। টেলিকম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্য শিল্পে তাদের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আঘাত না করে কীভাবে প্রতিশোধ নেওয়া যায় তা নির্ধারণ করতে তারা হিমসিম খাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার চিপকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সম্পদ ও বৈশ্বিক প্রভাব অর্জনের প্রচেষ্টায় গুরত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে দেখে। ফোন থেকে রান্নাঘরের সরঞ্জাম, এমনকি ফাইটার জেট পর্যন্ত সবকিছুতে চিপ ব্যবহৃত হয়। একজন চীনা বিজ্ঞানি ফেব্রুয়ারিতে সরকারি একটি জার্নালে লিখেছেন, চিপ হলো “প্রযুক্তি যুদ্ধের” কেন্দ্র।
চীনের নিজস্ব চিপের কারখানা আছে। কিন্তু তারা শুধু গাড়ি ও যন্ত্রপাতিগুলোতে ব্যবহৃত সুলভ মূল্যের প্রসেসর সরবরাহ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কম্পিউটার সার্ভার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্য উন্নত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য চিপ তৈরির সরঞ্জামগুলোর পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এটি শুরু হয়। জাপান ও নেদারল্যান্ডসও তাদের মতে অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে এমন প্রযুক্তির সহজলভ্যতা সীমিত করার যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে যোগ দিয়েছে।
শি ব্যতিক্রমীভাবে মার্চ মাসে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে “নিয়ন্ত্রণ ও দমন” প্রচারের মাধ্যমে চীনের উন্নয়নকে আটকানোর চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জনগণের প্রতি “লড়াই করার সাহস” দেখানোর আহ্বান জানান।
এর পরেও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কাজটি ধীরে ধীরে করছে বেইজিং। সম্ভবত চীনের ইলেকট্রনিকস শিল্পগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত না করার জন্য বেইজিং এ রকম করছে। বিশ্বের বেশির ভাগ স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কমপিউটার ও অন্য কনজিউমার ইলেকট্রনিকস অ্যাসেম্বলের কাজটি করে চীনা এসব প্রতিষ্ঠান। দেশটি প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের বিদেশি চিপ আমদানি করে।