ভারত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য নিজস্ব মুদ্রা রুপির ব্যবহারের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডলারের ঘাটতি আছে বা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার এমন দেশগুলোতে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশটি এমন উদ্যোগ নিচ্ছে।বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ডলারের বিকল্প হিসেবে রুপির প্রচলন এবং ইউরোর মতো মুদ্রার ব্যবহারের পদক্ষেপ গতি পেয়েছে। এটি দিল্লি ও মস্কোকে রুবল ও রুপিসহ ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রায় বাণিজ্য করতে উৎসাহিত করছে।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি এবং গত বছর রাশিয়া থেকে সস্তায় তাদের অপরিশোধিত তেল আমদানি বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশ, যারা ডলারের ঘাটতির কারণে সমস্যার মধ্যে রয়েছে, তাদের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যকে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তেল ও খাদ্যের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
ভারত প্রধান তেল সরবরাহকারী সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বৃহত্তর ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গেও রুপিতে বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা করছে।
ভারতই একমাত্র দেশ নয় যে, তারা বাণিজ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। চীন ও রাশিয়াও ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে।