অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু


বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে প্রথম দিনে সাক্ষী দিয়েছেন নিহত মিতুর বাবা ও মামলার বাদী, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, “প্রথম দিন মামলার বাদী ও মিতুর বাবা মোশাররফ সাক্ষী দেন। প্রথমে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করার কথা জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় চান। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার দাবি জানান। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে, প্রধান অভিযুক্ত, মিতুর স্বামী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ১৩ মার্চ আলোচিত এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে, গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তখন এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের অভিযুক্ত উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরে, স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে প্রমাণ পায় পিবিআই।

২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান অভিযুক্ত উল্লেখ করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা, সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। সেদিনই এই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।

XS
SM
MD
LG