চৈত্রের খরতাপ অনুভূত হচ্ছে বাংলাদেশের বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে। আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের ব্যাপক এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর, এমন পরিস্থিতি আরো কিছু দিন অব্যহত থাকতে পারে।
রাজধানী ঢাকায় রবিবার (৯ এপিল) তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা; ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রধানত শ্রমজীবী মানুষ। দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক এবং অন্য যারা ঘরের বাইরে কাজ করেন, তাদের জন্য তীব্র তাপ বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। গরমে ধুকছে পশু-পাখি।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এতে আরো বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
খুলনা অঞ্চলে বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। যা মানুষ ও প্রাণীদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে মানুষের চলাফেরা কঠিন হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় এলাকায় পানির সংকট, দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন সংগ্রামকে কঠিনতর করেছে।
দিনমজুর মো. আনিসুল বলেন, “আমি প্রতিদিন ৫০০ টাকায় কাজ করি। প্রচণ্ড গরমে মাটির কাজ করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। রিকশাচালক মজনু জানান, তিনি একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মজনু বলেন, “আমার রিকশায় ব্যাটারি নেই, তাই পায়ের প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালাতে হয়। প্রচণ্ড গরমে যা খুবই কঠিন।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।