চলতি বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশের পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন-এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা-কে সরকারের ফাঁদ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “আমাদের দল এই চক্রান্তে প্রলুব্ধ হবে না।”
রাজধানী ঢাকার রামপুরা এলাকার একটি হাসপাতালে, সোমবার (১০ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনকে দেখতে ডেল্টা কেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “এবার জনগণ ও বিএনপি সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না...আমরা তাদের ফাঁদ উল্টে দেবো।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সংসদ নির্বাচন হতে পারে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, এই স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে আমাদের দল আন্দোলনে রয়েছে। আর, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না।”
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি এক বৈঠকে বরিশাল, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন-এ আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ ত্রিশটি আসনও পাবে না। এটাই বাস্তবতা।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন যে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলা এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নস্যাৎ করে ক্ষমতায় বসতে চায়। “আওয়ামী লীগ মূলত একটি সন্ত্রাসী দল এবং বর্তমান সরকার পুরোপুরি সন্ত্রাসী শাসনে পরিণত হয়েছে। দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এর যোগ্য জবাব দেবে;” বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।