বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে সোমবার(১৭ এপ্রিল) পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, “সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টা বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”
বুলেটিনে বলা হয়েছে, “খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।”
“লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে; জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে সোমবার চলতি মৌসুমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনার ঈশ্বরদীর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীণতার আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করার ইতিহাস নেই। গত বছরের ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হেলাল উদ্দিন বলেন, “সকাল থেকেই অতি তীব্র তাপদাহ বইছে পাবনা জেলা জুড়ে। বাতাস যেন আগুন ছড়াচ্ছে। এই গরমে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।