সিরিয়ার প্রধান কূটনীতিক ৩ দিনের আনুষ্ঠানিক সফরে তিউনিসিয়ায় গেছেন। এ সফরের উদ্দেশ্য দুটি দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার শাসনের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমনে সহিংসতার আশ্রয় নিলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং সে সময় থেকে তিউনিসিয়ার সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় তিউনিসিয়ায় এসে পৌঁছানোর অল্প সময় পরেই সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল মিকদাদ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল আমমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। মিকদাদের মঙ্গলবার ও বুধবারের সফরসূচি সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি।
এক বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, এ সফরের উদ্দেশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোড়া দেওয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করা।
এ মাসের শুরুতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের আদেশ দেন। এর আগে সিরিয়ার সরকার তিউনিসে দূতাবাস আবারও চালু করার ও একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আলজেরিয়া থেকে শুরু করা সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় এসেছেন মিকদাদ। আলজেরিয়া হচ্ছে অল্প কয়েকটি আরব দেশের একটি, যারা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালীন দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
গত সপ্তাহে মিকদাদ সৌদি আরবেও গেছেন। দেশ দুটি ঘোষণা দেয়, তারা একে অপরের দেশে আবারও দূতাবাস খোলার এবং প্রায় ১ দশকেরও বেশি সময় পর উড়োজাহাজের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
২০১১ সালে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আসাদের সহিংস দমননীতির কারণে সিরিয়াকে বেশিরভাগ আরব দেশের সরকার একঘরে করে রাখে। পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতির কারণে এক পর্যায়ে সিরিয়াকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আসাদ দেশের বেশিরভাগ অংশের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো আবারও সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে।