ইরানের সর্বোচ্চ নেতা রাষ্ট্রীয় নীতির ব্যাপারে গণভোট আয়োজনের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) নাকচ করে দিয়েছেন।
গত বছর সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ওপর একটি গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একজন মধ্যপন্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন যে, বিভাজন হ্রাস করার উপায় হিসেবে এবং প্রধান নীতি নির্ধারণের জন্য এই জাতীয় ভোট হওয়া উচিত।
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই ধরনের নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি জিজ্ঞেস করেন, “বিশ্বের কোথায় এটি করা হয়? দেশের বিভিন্ন ইসুতে গণভোট করা কি সম্ভব?”
ইরানে ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর কারণে কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। দেশের কঠোর ইসলামিক পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নীতি পুলিশ ওই নারীকে আটক করেছিল। বিক্ষোভ দ্রুতই ক্ষমতাসীন ইমামদের উৎখাতের আহ্বানে পরিণত হয়। এই বিক্ষোভ তাদের চার দশকের শাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
কর্তৃপক্ষের সহিংস দমন-পীড়নের ফলে এই বছরের শুরুতে বিক্ষোভ থেমে যায়। তবে এখনো অসন্তোষের দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ রয়েছে।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরপরই ইরান একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণভোটের আয়োজন করে এবং একটি নতুন সংবিধান অনুমোদন করে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে আরেকটি গণভোটের আয়োজন করা হয়।