জাতিসংঘ প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে যাচ্ছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) জাতিসংঘ এ তথ্য প্রকাশ করে।
জাতিসংঘের অনুমান, বছরের মাঝামাঝি চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। জনসংখ্যাবিদেরা বলছেন, তবে ঠিক কোন তারিখে এই ঘটনা ঘটবে, জনসংখ্যার তথ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে তা বলা অসম্ভব।
জাতিসংঘ জনসংখ্যার তথ্য নেওয়া শুরু করার পর ১৯৫০ সাল থেকে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ। চীন ও ভারত—দুই দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি এবং দুই দেশের মোট জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার (৮০০ কোটি) এক তৃতীয়াংশের বেশি।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এই দশকের শেষে ভারত সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে—এমনটা ধারণা করা হয়নি। তবে সময়ের সাথে সাথে চীনে জন্মহার কমে যাওয়ায় এখন এমনটা ঘটতে যাচ্ছে।
সাত বছর আগে চীন সরকার তার এক সন্তান নীতি থেকে সরে এলেও শিশু জন্মের হার বাড়ছে না। কিন্তু বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ভারতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি থাকতে পারে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ভারতে ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই সংখ্যা ২৫ কোটি ৪০ লাখ।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এর অর্থ, ক্রমবর্ধমান শ্রমশক্তি যা আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, ভারতে ক্রমবর্ধমান তরুণ-তরুণীদের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করা হলে এটি দ্রুতই জনসংখ্যাগত দায় হয়ে উঠতে পারে।