অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সম্পর্ক মানে মিয়ানমারের অভ্যুত্থান বিরোধী কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঝুঁকি


থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের মে সোট জেলায় থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে একটি রাস্তায় অবরোধের সামনে একজন থাই সৈন্য বসে আছে। ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১। ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের এন্টি মিলিটারি রেজিস্ট্যান্সের সদস্যরা থাইল্যান্ডে প্রবেশ করলে জোরপূর্বকভাবে স্বদেশে ফিরিয়ে দেয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে , বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো একথা বলছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের একটি সামরিক বিরোধী দলের তিন সদস্যকে থাই কর্তৃপক্ষ আটক করে মিয়ানমার জান্তার কাছে হস্তান্তর করার পর হুমকিটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে ২ হাজার ৪১৪ কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। এর কারণে মিয়ানমারের সংঘাত থেকে পালিয়ে ওই দেশের শরণার্থীরা সহজেই থাইল্যান্ড চলে যেতে পারে। জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারের ৯১ হাজার শরণার্থী থাইল্যান্ডে রয়েছে। তবে থাইল্যান্ড ১৯৫১-এর রিফিউজি কনভেনশনের অধীনে নেই এবং শহুরে শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষার জন্য তাদের নির্দিষ্ট নিজস্ব কোনো আইনি কাঠামো নেই।

হ্যানওং বলেন, এই দুই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বর্তমান থাই সরকার স্থায়ী শরণার্থী সংকট দেখতে চায় না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, থাইল্যান্ড নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের অনুমোদন দিয়েছে এবং জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে।

উভয় চুক্তিই থাইল্যান্ডের নির্যাতন প্রতিরোধ এবং দমন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনটি ২০২২ সালে প্রণীত হয়েছিল। এই আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তি যদি নির্যাতনের ঝুঁকিতে থাকে বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নিখোঁজ হয়, তাকে নির্বাসন বা অন্য দেশে প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ করা হয়।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ দল অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর দ্বারা কমপক্ষে ৩ হাজার ৪০৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে।

XS
SM
MD
LG