অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের আফগান নীতির পর্যালোচনা; তালিবানের কঠোর নির্দেশকে তিরস্কার


আফগান নারীরা কাবুলে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন। ২২ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
আফগান নারীরা কাবুলে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন। ২২ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

তালিবানের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের সাথে প্রায় দুই বছরের স্থবির কূটনীতির পরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাদের আফগান নীতির পর্যালোচনা করছেন। তারা তালিবান শাসনকে “কঠোর” বলে অভিহিত করছেন।

তালিবান জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে আফগান নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে জাতিসংঘ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করার কথা ভাবছে। এমন সময় এই পর্যালোচনাটি আসে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো সহ বিশ্বব্যাপী সকলে তাদের পুরুষতান্ত্রিক নীতির নিন্দা জানাচ্ছে। তাতেও অবিচল রয়েছে তালিবান। তারা জোর দিয়ে বলে যে, শিক্ষা, কাজ এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ থেকে নারীদের বঞ্চিত করা একটি অভ্যন্তরীণ আফগান বিষয়।

ওয়াশিংটনের সুর কঠোর হয়েছে যখন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আফগান নারীদের ওপর ইসলামপন্থী শাসনের বিধিনিষেধ বাতিল করার বিনিময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তালিবানের একটি আসন দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মে মাসে একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশ আহ্বান করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার প্রস্তাবিত বৈঠকের লক্ষ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিউইয়র্কে সংবাদদাতাদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, গ্রুপটি স্বীকৃতির কথা বিবেচনা করবে।

প্রায় দুই বছর ধরে সমগ্র দেশের ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সত্ত্বেও তালিবান কোনো দেশের সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের আফগানিস্তানের আসনটি এখনো প্রাক্তন আফগান সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত নাসির আহমদ ফয়েকের দখলে রয়েছে।

নিউইয়র্কের মার্গারিট বাশির এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

XS
SM
MD
LG