ভারতে সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতি দাবি করে হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। প্রধান বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণে আশার আলো দেখছেন মামলাকারীরা।
গত মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল থেকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শুনানির তৃতীয় দিনে মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করেন, আইনজীবী তথা কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর বক্তব্যের ফাঁকে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ২০১৮-তে সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের যৌনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ৩৭৭ নম্বর ধারায় হোমোসেক্সুয়ালিটি অপরাধ বলে গন্য হত, তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ই সমলিঙ্গের সম্পর্ককে একপ্রকার মান্যতা দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণকে চলতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন মামলাকারীরা। কারণ, মামলায় সমলিঙ্গের দম্পতির বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে। এখন কোনও আইনেই তাদের স্বামী-স্ত্রী বলে মান্যতা না দেওয়ায় সমলিঙ্গের দম্পতিরা যৌথভাবে সম্পতি কিনতে পারছেন না। সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এমনকী বিমা প্রকল্প, সঞ্চয় প্রকল্পে নমিনি হওয়ার সুযোগ থেকেও তাঁরা বঞ্চিত।
বুধবার ১৯ এপ্রিলও প্রধান বিচারপতির একটি মন্তব্যকে মামলাকারীরা ইতিবাচক মনে করছেন। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের শোনার অধিকার নেই বলে আদালতে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুনানির প্রথম দিনেই কেন্দ্রের বক্তব্য উড়িয়ে শুনানি চালু রাখার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সরকারের এই দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন যে সমলিঙ্গের যৌন সম্পর্ক নগরজীবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রধান বিচারপতি বলেন, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ সরকার আদালতের সামনে হাজির করতে পারেনি যে বলা যায় সমলিঙ্গের সম্পর্ক শহুরে প্রবণতা। সাংবিধানিক বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি হলেন, এসকে কৌল, রবীন্দ্র ভাট, হিমা কোহলি, এবং পিএস নরসিমহা।