বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভর সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়, পৌর মেয়রসহ ৬৮ জানের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এই মামলা দয়ের করা হয়।
মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে। বাকি ১৫ থেকে ২০ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “নিহত ব্যক্তির ভাই মুনিরুল ইসলাম শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে মামলা দায়ের করেন।”
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন এবং গত সংসদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খায়রুল আলম জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এছাড়া তিনি জেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেম হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন এবং মেসবাউল হক টুটুলকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছর জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে, খায়রুল আলম জেম-এর সঙ্গে বর্তমান পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের প্রথম দফা দ্বন্দের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে, সদ্য শেষ হওয়া সংসদ উপনির্বাচন নিয়ে আবার দ্বন্দ শুরু হয়। এ সময় খাইরুল আলম জেমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। সেই সূত্র ধরেই ইফতার কিনতে যাবার সময় জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিলো। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।