অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহবান


ফাইল ছবি-করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে এক শিশুকে।
ফাইল ছবি-করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে এক শিশুকে।

বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারী লাখ লাখ শিশুকে নিয়মিত টিকাদান থেকে বঞ্চিত করেছে। দেশগুলোকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে,; যাতে অন্তত ২০১৯ সালের পর্যায়ের প্রয়োজনীয় টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।

'দ্য বিগ ক্যাচ-আপ' কর্মসূচির অধীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অংশীদাররা , সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সহায়তা করবে। আর এ সহায়তার লক্ষ্য হচ্ছে, যাতে আরো বেশি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে।

মহামারীর কারণে শতাধিক দেশে প্রয়োজনীয় টিকাদানের হার হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে হাম, ডিপথেরিয়া, পোলিও এবং হলুদ জ্বরের (ইয়েলো ফিভার) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জাতিসংঘের মতে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই আনুমানিক আড়াই কোটি শিশু টিকা থেকে বাদ পড়েছে।

টিকাদান হ্রাসের কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে; অতিরিক্ত চাপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা, ক্লিনিক বন্ধ থাকা এবং সিরিঞ্জ ও শিশি’র মতো চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের আমদানি ও রপ্তানিতে বিদ্যমান বিভিন্ন বাধা। একই সময়ে, সম্প্রদায় এবং পরিবারগুলো লকডাউনের মধ্যে ছিলো। সে সময় ভ্রমণ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে যাতায়াত সীমাবদ্ধ করা হয়েছিলো। এছাড়া, বিভিন্ন দেশের সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার কারণে আর্থিক সংস্থান এবং জনবল সীমিত হয়ে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, টিকাদান হ্রাসের জন্য অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, জলবায়ু সংকট এবং ভ্যাকসিনের গ্রহণের প্রতি দ্বিধা। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু হয়েছে গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে। এই কর্মসূুচিতে, ডব্লিউএইচও এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সঙ্গে যোগ দিয়েছে; গাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অন্য অনেক বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক অংশীদার।

তারা স্বাস্থ্যসেবা কর্মশক্তিকে শক্তিশালীকরণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহের উন্নতি, সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা তৈরি, ভ্যাকসিনের চাহিদা তৈরি এবং টিকাদান পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দূরত্ব ও বাধাগুলো দূরীকরণে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। এই উদ্যোগের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো; আরো বেশি শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের সম্প্রদায়কে টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষিত করা। তারা যাতে আরো সুখী, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

এই কর্মসূচিতে, ২০টি দেশে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই দেশগুলোতে, যেখানে ২০২১ সালে টিকা গ্রহণ না করা শিশুদের তিন চতুর্থাংশের বসবাস। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে; আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ভারত, পাকিস্তান, সোমালিয়া এবং মিয়ানমার।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, পরিষেবা শক্তিশালী করতে, আস্থা তৈরি করতে এবং জীবন বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

XS
SM
MD
LG