আগামী রবিবার ৩০ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য বিশেষ দিন। তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ওইদিন শততম পর্বটি প্রচারিত হবে। দিনটি বিশেষ ভাবে পালনের নানা আয়োজনের একটি হল, প্রধানমন্ত্রী দেশের যেসব নাগরিকদের বিশেষ কৃতিত্বের কথা তাঁর এই অনুষ্ঠানে এযাবৎ উল্লেখ করেছেন, তাঁদের অনেককেই দেশের রাজধানী দিল্লিতে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শততম পর্বটি উদযাপনে রাজধানীতে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক। দেশের সব রাজ্যের রাজভবনে রাজ্যপালেরা ওইদিন সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে মিলিত হবেন।
২০১৫ সাল থেকে প্রতিমাসের শেষ রবিবার আকাশবাণী, দূরদর্শন ছাড়াও ভারত সরকারের সমস্ত মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচারিত হয় প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকলেও ওই অনুষ্ঠান কখনও বাদ যায়নি। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের সংস্থা প্রসার ভারতী এই অনুষ্ঠানের আয়োজক।
দলীয় নির্দেশ মতো বিজেপির সব স্তরের নেতা-কর্মীর প্রধানমন্ত্রীর ওই অনুষ্ঠান শোনা বাধ্যতামূলক।
প্রসার ভারতীর দাবি, ৯৯তম পর্ব পর্যন্ত দেশের একশো কোটি নাগরিক এই অনুষ্ঠান একবার না একবার শুনেছেন। আর অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ। শ্রোতা-দর্শকদের প্রায় ৩২ শতাংশ অর্থাৎ ৩২ কোটি মানুষ নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান শুনে থাকেন।
প্রসার ভারতী সূত্রে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার রোহতকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টকে ‘মন কী বাত’ নিয়ে দেশবাসীর মনের কথা জানতে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য-পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
'মন কী বাত’-এর শ্রোতা-দর্শকদের ৭৩ শতাংশই সমীক্ষায় জানিয়েছেন তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচি এবং কর্মধারায় খুশি। শ্রোতা-দর্শকদের ৬২ শতাংশের বয়স ১৯ থেকে ৩৪-এর মধ্যে। অনুষ্ঠানের শ্রোতা-দর্শকদের মধ্যে পড়ুয়াদের ৫৮ শতাংশ জানিয়েছে তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বর্তমান সরকারের সময়ে।
আরও একটি তথ্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর ওই অনুষ্ঠান সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ দেখেন টেলিভিশনে। মোবাইলে দেখেন ৩৭ শতাংশের কাছাকাছি। বাকিরা অর্থাৎ
প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ অনুষ্ঠানটি শোনেন রেডিও-তে।