অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাইতির রাজধানীতে ১৩ সন্দেহভাজন দুষ্কৃতিকারীকে পুড়িয়ে মেরেছে উন্মত্ত জনতা


হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্স সন্দেহভাজন অপরাধী চক্রের সদস্যদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। ঘটনাস্থলে প্রহরায় নিয়োজিত এক পুলিশ কর্মকর্তা; ২৪ এপ্রিল, ২০২৩।
হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্স সন্দেহভাজন অপরাধী চক্রের সদস্যদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। ঘটনাস্থলে প্রহরায় নিয়োজিত এক পুলিশ কর্মকর্তা; ২৪ এপ্রিল, ২০২৩।

হাইতির রাজধানীতে উন্মত্ত জনতা সোমবার ১৩ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতিকারীকে মারধর করার পর তাদেরকে তেল-চপচপে চাকায় আটকিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উন্মত্ত জনতা ১টি ট্রাফিক মোড়ে সন্দেহভাজনদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের হত্যা করে।

আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার এই ভয়াবহ ও সহিংস ঘটনাটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এর ক্রমবর্ধমান অরাজক পরিস্থিতিকেই প্রতিফলিত করে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়িস আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার পর, এই রাজধানী শহরের আনুমানিক ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে অপরাধী চক্রের সদস্যরা।

হাইতির জাতীয় পুলিশ একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার শহরের কানাপে ভের্ত অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তারা একটি মিনিবাস থামিয়ে অবৈধ পণ্যের খোঁজে তল্লাশি চালায়। এসময় তারা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দ করে। এরপর “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, জনতা তাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে। বিবৃতিতে, জনতা কীভাবে সন্দেহভাজনদের ছিনিয়ে নেয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

এডনার স্যামুয়েল নামে পরিচয় দেয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী এপিকে জানান, উপস্থিত জনতা সন্দেহভাজন অপরাধীদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের গায়ে টায়ার আটকে দেয়ার আগে জনতা তাদের মারধর করে, পাথর ছুঁড়ে মারে।এরপর সে টায়ারে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এপির এক সংবাদদাতা ১৩ জনকে সড়কে পুড়তে দেখেছেন।

. কানাপে ভার্তের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্দেহভাজনরা সম্ভবত ক্রাজ বারইয়ে গ্যাং এর সদস্য ছিলেন, যার অর্থ “বাঁধা অতিক্রম করা”। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন ভিতেল’ওম ইনোসেন্ট। তার বিরুদ্ধে ২০২১ এর অক্টোবরে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ জন যাজককে অপহরণে সহায়তা ও প্রেসিডেন্ট ময়িসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

XS
SM
MD
LG