উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলা করলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় বৃহত্তর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকার বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে না যা্ওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চুক্তিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই মিত্র রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নিয়ে উভয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার সংবাদদাতাদের ব্রিফিংয়ে প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেন, “ওয়াশিংটন ঘোষণা” হলো বহু মাস ধরে আলোচনার ধারাবাহিক পদক্ষেপের ফলাফল এবং এটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, চুক্তির অধীনে সোওল “তার অ-পারমাণবিক অবস্থা বজায় রাখবে এবং অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অবস্থানের সমস্ত শর্ত মেনে চলবে”। ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি অনুমোদন করেছিল।
ওই কর্মকর্তা জানান, দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্র-রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা দক্ষিণ কোরিয়া (আরওকে) নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপ (এনসিজি) প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি “নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রক্রিয়া যা পারমাণবিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে এবং আমাদের রিপাবলিক অফ কোরিয়ার মিত্রদেরকে আমরা কীভাবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলার পরিকল্পনা সম্পর্কে চিন্তা করব সে সম্পর্কে আরও আলোকপাত করবে।”
স্নায়ু যুদ্ধের সময় যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কিছু নেটো মিত্রের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধের সিদ্ধান্তগুলোকে সমন্বিত করেছিল, এনসিজি পদ্ধতিও সেরকম।
ভয়েস অফ আমেরিকার অনিতা পাওয়েল ও উইলিয়াম গ্যালো এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।