অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দিনের ব্যবধানে ৭ জনকে অপহরণ


বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলায় তাজা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় জেলেরা। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলায় তাজা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় জেলেরা। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা আরো দুইজনকে অপহরণ করেছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহাছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। এর দুই দিন আগে আরো পাঁচজনকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর, টেকনাফে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন; বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রহিম (৩২) ও মো. রেদোয়ান (২০)।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন; টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল, উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত, বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। তিনি জানান, “৩০ এপ্রিল সকালে দুই কৃষককে অপহরণের কথা শুনেছি। পরে পুলিশের একটি টিম এলাকায় যায় এবং পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।”

এর আগে পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, “পাঁচজন উদ্ধার হয়েছে। তবে এসব ঘটনার পেছনে কারা আছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”

টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, “সকালে পাঁচজন কৃষক পাহাড়ের কাছাকাছি পানের বরজে কাজ করতে গেলে, ডাকাতের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনজন পালিয়ে আসলেও দুজনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পালিয়ে আসার সময় ২ জনকে কুপিয়ে জখম করে ডাকতরা।” তিনি আরো জানান, “এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রধারী ডাকাত দল অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।এখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত ৬ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ টেকনাফের পাহাড়ে ৭২টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩২ জন স্থানীয় বাসিন্দা অপহৃত হন।

সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন তারা। এছাড়া গত ৩ মার্চ দুই শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় জমি পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন। এছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।

XS
SM
MD
LG