.হোয়াইট হাউজের হিসাব অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ২০ হাজার রুশ নাগরিক নিহত হয়েছে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি বলেছেন, এদের প্রায় অর্ধেকই ওয়াগনার বাহিনীর সদস্য।
.ইউক্রেনের সৈন্যরা বিপর্যস্ত বাখমুত শহর থেকে রুশ সৈন্যদের হটিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনীয়দের পাল্টা হামলা আক্রমণ, রুশ সৈন্যদের কিছু অবস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
.ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান বলেছেন, তার যোদ্ধারা যদি ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যায়, তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বা নেটোর হাতে মারা যাবেনা।তারা মরবে মস্কোর সমর্থনের অভাবে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো রাশিয়া ইউক্রেন জুড়ে প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, আর এতে ২ জন নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সোমবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, রাশিয়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের কেন্দ্রস্থল , পাভলোহরাদ শহর লক্ষ্য করে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলায়, দুজনের মৃত্যুর ছাড়াও আরো ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন শিশু রয়েছে।
পাভলোহরাদের উপকণ্ঠে ধ্বংসস্তূপে ভরা একটি বাড়ির উঠোনে বিস্ফোরণে বিশাল গর্ত তৈরি হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক-শিল্প স্থাপনায় অধিকতর নির্ভুল, দূরপাল্লার, আকাশ ও সমুদ্র থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার একটি অঞ্চলে বিস্ফোরণের কারণে সোমবার একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে বলে স্থানীয় গভর্নর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে গত ১৪ মাসে ইউক্রেন পন্থী নাশকতাকারী গোষ্ঠীগুলো একাধিক হামলা চালিয়েছে। এই এলাকার গভর্নর শনিবার বলেন, সীমান্তের খুব কাছের একটি গ্রামে কিয়েভের গোলাবর্ষণে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
গভর্নরের কথা অনুসারে, ঘটনাস্থলটি ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। তবে হামলার জন্য কারা দায়ী তা তিনি জানাননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
হোয়াইট হাউজ সোমবার বলেছে, তাদের অনুমান, মাত্র ছয় মাসে রাশিয়ার এক লাখ মানুষ হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে, পূর্ব ইউক্রেন দখলের লড়াইয়ে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।