অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হিজাববিহীন নারীদের অশ্লীলতা প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা ক্যামেরার আশ্রয় নিয়েছে ইরান



ফাইল ছবি- ইরানের রাজধানী তেহরানে রাস্তায় হাঁটছেন এক ইরানি নারী, মাজিদ আসগারিপুর/ওয়ানা (পশ্চিম এশিয়া নিউজ এজেন্সি) এর মাধ্যমে রয়টার্স। ( ৯ এপ্রিল, ২০২৩।)
ফাইল ছবি- ইরানের রাজধানী তেহরানে রাস্তায় হাঁটছেন এক ইরানি নারী, মাজিদ আসগারিপুর/ওয়ানা (পশ্চিম এশিয়া নিউজ এজেন্সি) এর মাধ্যমে রয়টার্স। ( ৯ এপ্রিল, ২০২৩।)

কয়েক বছরের মধ্যে ইরানের সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার উদ্দেশ্যে, দেশটির শাসকরা বাধ্যতামূলক ইসলামী হিজাব পরতে অস্বীকারকারী নারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য নতুন, কম বিভ্রান্তিকর কৌশল অবলম্বন করছে।

গত বছর দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর প্রবর্তিত এই পদ্ধতিতে নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহারের পাশাপাশি , নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়। নৈতিকতা পুলিশকে প্রতিস্থাপন করা হয়। যাদের কর্মকাণ্ড গত কয়েক মাসের অস্থিরতার মূলে ছিল।

ইরানের সক্রিয়বাদীরা বলছেন, হিজাবের বিরোধিতার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপগুলো এখনো তেমন অগ্রগতি লাভে সাহায্য করেনি এবং এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে।

উত্তরাঞ্চলের রাস্ত শহরের ৩১ বছর বয়সী প্রাইভেট টিউটর রোয়া বলেন, "রাস্তায় হিজাব ছাড়া হাঁটা এখন আমাদের বিপ্লবকে বাঁচিয়ে রাখার আমার নিজস্ব উপায়।“তাকে নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করে তিন মাস আটক রাখা হয়।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরমানশাহ শহরের উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মরিয়ম রয়টার্সকে বলেন, “আমরা শাসকগোষ্ঠীর হুমকিতে ভীত নই। আমরা স্বাধীনতা চাই।আলেমদের কাছ থেকে আমাদের দেশ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে খারাপ কি আর হবে, আমাকে গ্রেফতার করবে? করুক, আমি পরোয়া করি না।“

কয়েক দশক ধরে হিজাব পরতে অস্বীকৃতি জানানো নারীরা ব্যস্ত জনসমাগমস্থলে টহল রত নৈতিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এবারের সংকটের পরে তা উধাও হয়ে গেছে বলে বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানান।

ইরানি কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, যারা ড্রেস কোড অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে নৈতিকতা পুলিশের টহল আর অভিযান চালানো হবে না।

XS
SM
MD
LG