ভারতে মণিপুরের জ্বলন্ত পরিস্থিতি শুক্রবার ৫ মে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে বলে জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, মোরে এবং কাংগোপি এলাকা এখন অনেকটাই শান্ত, স্থিতিশীল। ইম্ফল এবং চূড়াচাঁদপুর এলাকার অবস্থাও ভাল করার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে।
তবে পরিস্থিতি শান্তির দিকে মুখ ঘোরালেও সেনা এখনই সরছে না সে রাজ্য থেকে, বরং আগাম সতর্কতা হিসেবে মোতায়েন হতে চলেছে আরও কিছু বাহিনী। পড়শিরাজ্য নাগাল্যান্ড থেকেও আনা হয়েছে সেনা। এক অফিসার জানিয়েছেন, বায়ুসেনা যেমন ফ্লাইং অপারেশন চালাচ্ছে সেনা আনার জন্য, তেমনই চলবে। গুয়াহাটি এবং তেজপুর থেকেও আনা হবে সেনা।
মণিপুরে সংঘাতের সূত্রপাত বুধবার থেকে। সেখানকার হাইকোর্ট সরকারের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছে, মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি তালিকাভুক্ত করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে। তারপরেই জনজাতি ছাত্রদের উত্তাল আন্দোলন মণিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনই পরিস্থিতি যে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে মণিপুরের বিজেপি সরকার দেখামাত্রই গুলি অর্থাৎ শ্যুট অ্যাট সাইট অর্ডার জারি করেছে।
বুধবার ৩ মে বিকেলেই মণিপুরের বিজেপি সরকার অধিকাংশ জেলায় কার্ফু জারি করেছিল। কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং রীতিমতো সংকটের মধ্যে পড়েছেন। দিন পনেরো হতে চলল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেহাল। তার উপর বীরেন সিংয়ের নেতৃত্ব খোদ দলের মধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাঁর কাজে অসন্তোষ জানিয়ে জনা ছয় বিধায়ক সরকারি পদ ছেড়ে দিয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতত্বের তরফে মণিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র গত সপ্তাহে গুয়াহাটিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন। তারপরও বিদ্রোহে ভাটা পড়েনি।