অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জঙ্গি হামলার ছক,৭ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করলো বেলজিয়ামের পুলিশ


ফাইল- লোকজন নৌকায় করে বেলজিয়ামের খালে বেড়াচ্ছেন। ডিসেম্বর ২২,২০১৯। ৪ মে ২০২৩ ‘এ পুলিশ এই ঘেন্ট এবং অন্যান্য শহরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে।
ফাইল- লোকজন নৌকায় করে বেলজিয়ামের খালে বেড়াচ্ছেন। ডিসেম্বর ২২,২০১৯। ৪ মে ২০২৩ ‘এ পুলিশ এই ঘেন্ট এবং অন্যান্য শহরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে।

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে সমর্থন করার সন্দেহে বৃহস্পতিবার সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বেলজিয়ামের পুলিশ। একথা জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা। তারা বলেছেন যে আটক ব্যক্তিরা ‘জঙ্গি হামলা’র ছক কষছিলো।

এক বিবৃতিতে প্রসিকিউটররা বলেন, সন্দেহভাজনদের প্রায় সকলেই চেচেন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য এবং এদের মধ্যে তিন জনের বেলজিয়ামের নাগরিকত্ব রয়েছে।

তারা বলেন, “পরিকল্পিত হামলার সঠিক লক্ষ্য কী ছিলো তা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। ”

পুলিশ তাদের অভিজাত ইউনিটের সহায়তায় পশ্চিম বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি শহরের নয়টি ঠিকানায় অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন একজন তদন্তকারী বিচারক, যিনি সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট মামলার বিশেষজ্ঞ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সন্দেহভাজনদের অভিযুক্ত করতে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে কিনা তা পরে বিবেচনা করবেন বিচারক। বিবৃতিতে আরো বলা হয়,”সম্ভাব্য অভিযোগগুলো হলো, সন্ত্রাসী হত্যা-প্রচেষ্টা, জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি।”

প্রসিকিউটর আরো বলেন যে গ্রেফতার হওয়া সাতজনই “বেলজিয়ামে জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।” তারা সকলেই “আইএস ‘এর কট্টর সমর্থক একটি গোষ্ঠীর সদস্য।”

ফেডারেল প্রসিকিউটর দপ্তরের মুখপাত্র এরিক ভ্যান ডুয়েসে এএফপিকে বলেন,“ দৃশ্যত মনে হচ্ছে তাদের লক্ষ্য ছিলো বেলজিয়ামে অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান। আর, তারা “সক্রিয়ভাবে অস্ত্রের সন্ধান করছিলো।”

ঘেন্ট এবং রোয়েজলারে, মেনেন, ওস্টেন্ড ও ওয়েভেলজেম এর মতো ছোট শহরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।

গত ২০১৬ সালের ২২ মার্চ, বেলজিয়ামে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিলো ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী। সেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিলোৈ ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও রাজধানীর মেট্রোরেলকে। ঐ ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং কয়েকশো মানুষ আহত হন।

সেই বোমা হামলা করা হয়েছিলো ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্যারিসে হামলার কয়েক মাস পর। আইএস গোষ্ঠীর একই চক্র প্যারিস হামলার পরিকল্পনা করেছিলো; ঐ হামলায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়।

রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত চেচনিয়া একটি মুসলিম অধ্যুষিত প্রজাতন্ত্র।

ক্রেমলিনপন্থী লৌহমানব রমজান কাদিরভ চেচনিয়া শাসন করেন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে যুদ্ধকে সমর্থন করেন এবং সেখানে লড়াই করতে তার আধা সামরিক বাহিনীকেও পাঠিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG