তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে, মানবাধিকার বিষয়ক একটি সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মিশন পরিচালনা করে জাতিসংঘ। এই বিশেষ মিশন দেশটিতে নজিরবিহীন মাত্রায় “পদ্ধতিগত লিঙ্গ-ভিত্তিক” বৈষম্য দেখতে পায়। এই বৈষম্য দরিদ্র দেশটির ভবিষ্যতকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ।
জাতিসংঘের দুই সদস্যের মিশন শুক্রবার তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে।এতে বলা হয়, জাতিসংঘ ও স্থানীয় এনজিওগুলোতে আফগান নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করে তালিবানের সর্বসাম্প্রতিক আদেশের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের মানবিক সংকট এবং গভীর অস্থিরতার মধ্যে গবেষণাটি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
প্রায় দুই বছর আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে, তালিবান মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি শিক্ষা গ্রহণে এবং বেশিরভাগ সরকারি চাকরি ও জনসমাগম-স্থলে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ তাদের তদন্তকারী দলকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "আমাদের মিশন পরিচালনার সময়, আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের মানবাধিকারের ওপর দমন পীড়নের কারণে তাদের জীবন কীভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা নথিভুক্ত করেছি। তারা কঠোর পর্দা বিধি আরোপ করেছে এবং কথিত ‘নৈতিক অপরাধের’ অভিযোগে নারী ও মেয়েদের আটক করছে।”
মিশনে ছিলেন আফগান মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক (রেপোর্টিয়ার) রিচার্ড বেনেট এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি বৈষম্য বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডরোথি এস্ট্রাডা-ট্যাঙ্ক। তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও উত্তরাঞ্চলীয় বলখ প্রদেশে তালিবান প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, নারী সংগঠন, উদ্যোক্তা, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
জাতিসংঘের কার্যালয় আফগানিস্তানের জনগণের পক্ষে থাকার এবং কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, বলেছে যে তারা "চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পিছু হটতে পারে না।“