মুসলিম কোটা নিয়ে ভারতের কর্নাটকের রাজনৈতিক নেতাদের চুপ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ মুসলিম কোটা নিয়ে একটি কথাও বলবেন না । আদালত মামলার পরবর্তী শুনানি করবে জুলাই মাসে। তারিখ পরে জানানো হবে।
সরকারি চাকরি, শিক্ষায় মুসলিম কোটা নিয়ে ভোটের কর্নাটক তেতে আছে। রাজ্যের বিজেপি সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ চার শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দিয়ে তা দুই শতাংশ হারে ভাগ করে দিয়েছে হিন্দুদের দুটি প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েতদের মধ্যে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি হিন্দু ভোটের সিংহভাগ নিজেদের দখলে আনার কৌশল নিয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে মুসলিমদের কাছে টানার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। সোমবার বিকালে প্রচার শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ইস্যুতে ভোটের রাজনীতি ছিল সরগরম। যদিও ভোটের দিন ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা কার্যকরে স্থগিতাদেশ জারি করে। তাতে বেকায়দায় পরে সরকার। মঙ্গলবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্য সরকার নয়া সংরক্ষণ নীতি এখন কার্যকর করতে পারবে না।
বিচারপতি কেএম জোসেফ, বিভি নাগারথনা এবং আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহর বেঞ্চ বলেছে, "আদালতের বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। অথচ মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে বিস্তর কথা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। মামলার রায় ঘোষণার আগে কেউ আর এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারবেন না।"
কর্নাটক সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা অবশ্য আদালতের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হননি। তিনি বলেন, "কেউ যদি ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার বিরোধিতা করেন তাতে আপত্তির কী আছে।" এর আগে সুপ্রিম কোর্ট কর্নাটক সরকারের সিদ্ধান্তকে ক্রটিপূর্ণ এবং নড়বড়ে বলে মন্তব্য করে বলেছিল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে আরও ভাবনাচিন্তা করার প্রয়োজন ছিল।