পাকিস্তানের পুলিশ এবং বিরোধী রাজনীতিকরা বৃহস্পতিবার এ খবর নিশ্চিত করেছেন, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পিটিআই-এর বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং তার শত শত সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা ধরা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে তার নাটকীয় গ্রেপ্তারের ঘটনায় ইমরান খানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর নেতৃত্বে ব্যাপক এবং সহিংস বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়।
পুরুষ এবং নারীসহ বিক্ষোভকারী এবং দাঙ্গা পুলিশদের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পক্ষে বলেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ভয়ভীতি, দাঙ্গা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার অভিযোগ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের জোট সরকার ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাবের দুটি প্রদেশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সেনা মোতায়েন করে ।
কয়েক ডজন স্থানীয় নিউজ চ্যানেলে পিটিআই-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সম্প্রচারের প্রায় সম্পূর্ণটুকু ব্ল্যাকআউটে ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টুইটার, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সামাজিক গণমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশ বৃহস্পতিবার তৃতীয়দিনের জন্য দেশব্যাপী সীমাবদ্ধ ছিল।
পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, রাজনৈতিক দল এবং স্বাধীন বিশ্লেষকরা দেশের গণতন্ত্রের ভঙ্গুরতার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দায়ী করেছেন।
সেনা জেনারেলরা বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীদের রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে, ৭৫ বছরের প্রায় অর্ধেক সময় ধরে দেশটিকে শাসন করেছেন।