এক সপ্তাহে তিনবার। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারতে পাঞ্জাবের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির চত্বর । বুধবার ১০ মে মাঝরাতে স্বর্ণমন্দির এলাকার শ্রী গুরু রামদাস নিবাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। হতাহতের কোনও খবর এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছিল পুলিশ এবং দমকল। স্বর্ণমন্দির চত্বরে লাগাতার এমন বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হরমন্দির সাহিবের কাছে যে বাগান রয়েছে, তার সামনের গলিপথ গালিয়ারায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশের দাবি, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে কিছু লিফলেট পাওয়া গেছে। বোমার অবশিষ্টাংশ, স্প্লিন্টারও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, রাত তখন সাড়ে ১২টা। স্বর্ণমন্দির এলাকার শ্রী গুরু রামদাস নিবাসের কাছাকাছি এলাকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। আতঙ্কে দৌড়োদৌড়ি শুরু করেন স্থানীয় লোকজন। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে আশেপাশের রেস্তোরাঁ ও বহুতলের জানালার কাচ ভেঙে যায়। স্বর্ণ মন্দিরের খুব কাছেই হেরিটেজ সরণি স্ট্রিট। সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে এই অনুমান করে পুণ্যার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর যায় পুলিশে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে স্বর্ণমন্দিরের কাছে হেরিটেজ সরণিতে প্রথমবার বিস্ফোরণ হয়েছিল। দু’দিন পর ওই এলাকাতেই আবারও বিস্ফোরণ হয়। এরপর বুধবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম। বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে অশান্তি সৃষ্টি করাই উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। অমৃতসর পুলিশ কমিশনার নৌনিহাল সিং বলেন, “এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক রয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
দিন পাঁচেক আগে পাকিস্তানে খলিস্তানপন্থী শীর্ষ নেতা পরমজিৎ সিংহ পঞ্জওয়ার ওরফে মালিক সর্দারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খলিস্তান কমান্ড ফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পরমজিৎ। তাঁর মৃত্যুর পরে খলিস্তানপন্থীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। স্বর্ণমন্দির চত্বরে বারবার বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।