গত ৩০ এপ্রিল ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানের শততম পর্ব। সেই অনুষ্ঠান না শোনায় চণ্ডীগড়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ নার্সিংয়ের ৩৬ জন পড়ুয়াকে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রীদের এক সপ্তাহের জন্য হস্টেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এটাই শাস্তি। লিখিতভাবে সে কথা জানিয়ে বলা হয়েছে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এই সিদ্ধান্ত।
ওই পদক্ষেপ ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হলে কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দিতে রাজি হননি। কীভাবে এমন একটি সিদ্ধান্ত তারা চাপিয়ে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাপের মুখে কর্তাদের কেউ কেউ নাম পরিচয় গোপন রেখে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন, শৃঙ্খলা রক্ষায় এটা রুটিন শাস্তি। এর সঙ্গে মন কি বাত অনুষ্ঠানের আলাদা করে কোনও সম্পর্ক নেই। ক্লাস না করলেও এই একই শাস্তি দেওয়া হয়।
ওই নার্সিং ইনস্টিটিউটটি চণ্ডীগড়ের ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধীনে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ এপ্রিল সেখানেও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনতে চিকিৎসক সহ সকলকে বেলা ১১’টায় অডিটোরিয়ামে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
নার্সিং ইনস্টিটিউটে আলাদা করে হস্টেল সুপার আবাসিক ছাত্রীদের বলেছিলেন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনা বাধ্যতামূলক। সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিটোরিয়ামে পৌঁছতে হবে। সেখানে মাথা গুনে দেখা যায় নার্সিং ছাত্রীদের প্রথম ও তৃতীয় বছরের ৩৬ জন হাজির হয়নি। তিনদিনের মাথায় তাদের শাস্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার এবং শিক্ষা মন্ত্রক চিঠি দিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছিল ৩০ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ‘মন কি বাত’ এর শততম পর্ব শোনানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু পড়ুয়া সহ সকলের শোনা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি সরকারি নির্দেশনায়। তা সত্ত্বেও চণ্ডীগড়ের ওই প্রতিষ্ঠান কেন ছাত্রীদের শাস্তি দিল তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য সপ্তাহের মতো ছাত্রীদের একাংশ শনিবার বিকালে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তারা রবিবার বাড়িতে কাটিয়ে সোমবার ফিরে আসেন।