অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মুক্ত, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব


বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, “বাংলাদেশ এমন একটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বপ্ন দেখছে; যা মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক। আর, সবার জন্য সমৃদ্ধি ভাগ করে নেয়।” শনিবার (১৩ মে) ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে সমাপনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ একথা বলেন।

তিনি বলেন, “যদি সকলে এটিকে পুরোপুরি উপলব্ধি করেন এবং প্রশংসা করেন, তাহলে তারা শান্তি, সমৃদ্ধি এবং একটি সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্বের দিকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। আমরা এই লক্ষ্যে আমাদের সমস্ত আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে ‘ভাগাভাগি দায়বদ্ধতার’ মাধ্যমে ‘ভাগাভাগি সমৃদ্ধির’ পক্ষে।”

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার ‘ভিশন ২০৪১’ অর্জনের একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বৈশ্বিক জিডিপি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি ফলাফল-ভিত্তিক লক্ষ্যের দিকে এই অঞ্চলে সহযোগিতা প্রসারিত করতে প্রস্তুত রয়েছে; যা এই অঞ্চলের সাধারণ কল্যাণের জন্য অর্জনকে বাড়িয়ে তুলবে।

মাসুদ বলেন, “শুক্রবার (১২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।সেগুলো হলো; সামুদ্রিক কূটনীতি; জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাববেলা; অংশীদারিত্ব জোরদার করা; সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা জোরদার করা; শান্তির সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা; এবং ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষকতা।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, “এগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, আমরা আমাদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে, ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে আমাদের সমন্বয় এবং সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারি।”

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান সম্মেলন-এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, “আপনাদের প্রতিশ্রুতি এবং অবদানের সঙ্গে আমি বিশ্বাস করি যে এই ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যে পরিণত হয়েছে এবং আমরা এই সম্মেলনের গ্রহণযোগ্যতাকে পরবর্তী সম্মেলনে এবং অন্যান্য বৈশ্বিক আলোচনায় নিয়ে যেতে পারি।”

সম্মেলনে যোগ দেন মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

XS
SM
MD
LG