অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়


চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। ইংল্যান্ডের এই গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওডিআইতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রানে জয় নিশ্চিত হয় টিম-টাইগারের। মুস্তাফিজুর রহমান চার উইকেট নিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয়ে দলকে এগিয়ে নেন।

শেষ ওভারে প্রতিরোধের জন্য, ১০ রানের মধ্যে বোলার হাসান মাহমুদ প্রথম ৩ বলে এক রান দেন। সেই ডেলিভারিতে রানআউটসহ ৩ উইকেট পড়ে যায়। শেষ ৩ বলে, মাত্র ৩ রান করতে পারে আয়ারল্যান্ড।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। প্রথম দিকে মাত্র ৪ রানে অভিষিক্ত রনি তালুকদারকে হারিয়ে, শুরুটা নড়বড়ে হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবে, বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৮২ বলে ৬৯ রান করে ইনিংসকে স্থির রাখেন, ৯ ইনিংসের পর আসে তার প্রথম ফিফটি।

নাজমুল হোসেন শান্ত ৩২ বলে ৩৫ রানের একটি প্রয়োজনীয় স্কোর করেন। লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম যথাক্রমে ৩৫ এবং ৪৫ রানে অবদান রাখেন। মেহেদি হাসান মিরাজের কিছু দুর্দান্ত আঘাতের কারণে বাংলাদেশের ইনিংস পরবর্তী পর্যায়ে একটি বড় উৎসাহ পায়। তিনি ৩৯ বলে ৩৭ রান করেন।

ইনিংসের শেষ অংশে, ১৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩০০ বা তার বেশি ছুঁয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। তবে, ৪৮ ওভার পাঁচ বলে ২৭৪ রানে অলআউট করে প্রতিপক্ষকে।

২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে, আয়ারল্যান্ডের শুরুটা খারাপই ছিলো। চার রানে স্টিফেন ডোহেনিকে হারায়। তবে, পল স্টার্লিং এবং অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ রানের দৃঢ় জুটি গড়েন। স্টার্লিং ৭৩ বলে ৬০ রান আর বলবির্নি ৭৮ বলে ৫৩ রান করেন।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি টেক্টরও ৪৮ বলে একটি দরকারী ৪৫ রান করেন এবং লোরকান টাকার ৫৩ বলে ৫০ রান ঝুলিতে ভরেন। ক্যাপ্টেন অ্যান্ডি বালবির্নিও ৭৮ বলে ৫৩ রান করেন।

এদিকে, বাংলাদেশের বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ বিরতিতে উইকেট নিতে থাকেন এবং আইরিশরা তাড়া খেয়ে শেষ পর্যন্ত পাঁচ রানে পিছিয়ে যায়, ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করে তারা।

মুস্তাফিজুর কিছুদিন ধরে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি চার ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। হাসান ৯ ওভারে ৪৪ রান দেন এবং দুটি উইকেট পান।

এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অবিরাম বৃষ্টির কারণে পণ্ড যায়, দ্বিতীয় ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে সংক্ষিপ্ত হয়।

XS
SM
MD
LG