ভারতের উত্তর প্রদেশে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে থাকা শৃঙ্গার গৌরী মন্দিরে বছরের সব দিন পূজাপাঠের অনুমতি পেতে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। ধর্মাচরণ সংক্রান্ত অধিকার আদায়ে পাঁচজন মহিলা আবেদনকারী এই মুহূর্তে দেশের আর কোনও মামলায় নেই।
এবারে এই মামলায় জ্ঞানবাপী মসজিদের পুরো চত্বর জুড়ে জরিপের দাবি সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করল স্থানীয় জেলা আদালত। মঙ্গলবার জেলা আদালত এই মামলায় যে মুসলিম পক্ষ রয়েছে তাকে তিনদিনের মধ্যে তাদের আপত্তির কথা আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ মে। মামলাকারী পাঁচ মহিলার মামলায় এতদিন মসজিদ চত্বর থেকে উদ্ধার হওয়া পাথরখণ্ড শিবলিঙ্গ কিনা তা নিয়ে মামলা চলছিল। ওই পাথরখণ্ড নিয়ে ২২ মে-ই আরকিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।
তার আগে পুরো মসজিদ চত্বরে জরিপের দাবিতে হওয়া মামলা আদালত গ্রহণ করায় গোটা বিতর্ক অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, বারাণসীতে কি আর একটা অযোধ্যা বিবাদের সূত্রপাত হতে চলেছে? জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে গত আড়াই বছর যাবৎ আইনি বিবাদ চলছে।
অযোধ্যার রামমন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়েছিল, হিন্দু পক্ষের এই দাবি খতিয়ে দেখতে আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে সার্ভের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। মসজিদের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মন্দিরের নিদর্শন উদ্ধার করেছিল এএসআই। ২০১৯ এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামচন্দ্রের জন্মস্থান বলে মেনে নেয়। সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। সেই রায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এএসআইয়ের জরিপ ও খনন রিপোর্ট। বারাণসীর জ্ঞানবাপী বিতর্ক সেই দিকে গড়াচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে।
অযোধ্যার মতোই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান এবং বারাণসীর কাশী-বিশ্বনাথ মন্দিরের বেদখল জমি পুনরুদ্ধারে একাধিক মামলা আদালতের বিচারাধীন। মামলাকারীদের দাবি, মূল মন্দির ভেঙে তৈরি হয় মসজিদ।