ই-কমার্স সংস্থা আমাজন ভারতে বহু কর্মী ছাঁটাই করছে, দিন দুয়েক আগে এমনটাই শোনা গিয়েছিল।আর্থিক মন্দার বাজারে একের পর এক কোম্পানি খরচ কমাতে এই সিদ্ধান্তই নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সুখবর শোনাল আমাজন। আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এ বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল।
ভারতের ক্লাউড পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস। ভারতীয় মুদ্রায় এই বিনিয়োগের পরিমাণ ১.০৫ লাখ কোটি টাকা।
এই বিনিয়োগের ফলে যেমন পরিকাঠামো উন্নত হবে, তেমনই বিপুল কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে ভারতে। মূলত ক্লাউড পরিকাঠামো উন্নত করতেই এই বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বছরে গড়ে ১,৩১,৭০০ চাকরি দেওয়া যাবে।
আমাজন জানিয়েছে, নির্মাণ, ফেসিলিটি, মেইনটেন্যান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিউনিকেশন সহ বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ থাকবে।
আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস আরও জানিয়েছে, ভারতে ক্লাউড পরিকাঠামোতে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (১২.৭ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বেড়ে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (১৬.৪ বিলিয়ন ডলার)-এ পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যায়।
আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এর নতুন সিইও অ্যাডাম সেলিপস্কাই জানিয়েছেন, তারা ডিজিটাল পাওয়ার হাউস হিসাবে ভারতে তাদের পরিষেবা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে কাজ চলছে।
২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা (৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ২০৩০-এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
এই বিনিয়োগটি আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণে আরও অর্থ জোগাতে সহায়তা করবে। বর্তমানে, ক্লাউড প্ল্যাটফর্মটি দেশে দু’টি ডেটা সেন্টার চালায়। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ে প্রথম সেন্টার চালু করা হয়। দ্বিতীয় সেন্টারটি ২০২২ সালে নভেম্বরে শুরু হয়েছিল হায়দরাবাদে।
আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস ইতিমধ্যেই স্টোরেজ, রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ ২০০টিরও বেশি পরিষেবা দেয়৷ তারা আরও জানিয়েছে, যে ভারতে তাদের বিনিয়োগের ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে কর্মশক্তির উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার সুযোগে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে।