অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শাহরুখ-পুত্রর মাদক মামলায় এনসিবি অফিসারকে এখনই গ্রেফতার নয় জানাল দিল্লি হাইকোর্ট


ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলার ঘটনাতে প্রাক্তন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তলব করেছে। অভিযোগ, আরিয়ানকে মুক্ত করতে নাকি প্রায় ২৫ কোটি টাকা চেয়ে বসেন সমীর। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত হয় এবং তারপর সমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। সিবিআই জানিয়েছে, সমীর নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করতেই শাহরুখ খান ও তাঁর পরিবারকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন।

সিবিআইয়ের তলবের মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের। জানা গিয়েছে, সমীর দিল্লির উচ্চ আদালতে সমন বন্ধ করার অনুরোধ করেছিলেন। বুধবার ১৭ মে হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা মঞ্জুর করেছে। আগামী পাঁচদিন তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এর পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাক্তন এনসিবি কর্তা চাইলে এরপর মুম্বই হাইকোর্টেও যেতে পারেন। তবে সমীর ওয়াংখেড়ে কী করবেন, তা এখনও জানা যায়নি। এর পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার ১৮ মে সিবিআই তাঁকে হাজিরার জন্যও ডেকে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেবেন। উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

বৃহস্পতিবার, ১৮ তারিখ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে। তিনি সেই মতো সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন বলেই খবর। তবে তার আগেরদিনই দিল্লি আদালতে স্বস্তি মিলেছে তাঁর। দিল্লি উচ্চ আদালতে সরকারি কৌঁসুলি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, সমীর ওয়াংখেড়ের আবেদনটি বম্বে হাইকোর্টে তোলা উচিত। সেই মতো বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চ আগামী পাঁচদিন ওয়াংখেড়েকে গ্রেফতারি এড়ানোর রক্ষাকবচ দিয়েছে।

মূলত, আরিয়ান খান মাদক মামলার ঘটনাতেই প্রাক্তন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে সিবিআই তলব করেছে। অভিযোগ, আরিয়ানকে মুক্ত করতে নাকি প্রায় ২৫ কোটি টাকা চেয়ে বসেন সমীর। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত হয় এবং তারপর সমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। সিবিআই জানিয়েছে, সমীর নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করতেই শাহরুখ খান ও তাঁর পরিবারকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন।

XS
SM
MD
LG