অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের ২৯ তম গ্যাসক্ষেত্র ইলিশা-১: প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ


ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র
ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র

বাংলাদেশের ভোলা জেলার ইলিশা-১ গ্যাসকূপ-কে দেশের ২৯ তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।সেখানে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার (২২ মে) ঢাকায় তার বাসভবনে সাংবাদিকদের গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ইলিশা-১ এর ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এই এলাকাসহ পুরো ভোলা এলাকায় তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এটি একটি সুসংবাদ “

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮২ কিলোমিটার দূরে, ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত। চলতি বছরের ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ইলিশা-১ খনন কাজ শুরু হয় এবং গত ২৪ এপ্রিল তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে তিনটি স্তরে ড্রিল স্টেম টেস্টের মাধ্যমে সফলভাবে খনন কাজ সম্পন্ন হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এর আগে জানিয়েছিলেন যে ভোলা উত্তর ও ভোলা দক্ষিণ কাঠামোর আওতাধীন বিভিন্ন কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। তিনি বলেছিলেন, “ভোলা এলাকা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, “প্রাথমিকভাবে একটি বড় ট্রেলারের মাধ্যমে ভোলা থেকে মোট ২৫ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘন ফুট) গ্যাস আনার জন্য একটি বেসরকারি কোম্পানি চুক্তি করেছে। প্রাথমিকভাবে যা পাঁচ এমএমসিএফডি দিয়ে শুরু হবে।”

নসরুল হামিদ আরো জানান, “ভোলা, বরিশাল ও ঢাকা জুড়ে পাইপলাইনের রিং-ফেন্স তৈরির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে এবং ঢাকা, সিলেটসহ অন্যান্য জেলাজুড়ে আরেকটি রিং-ফেন্স তৈরি করা হবে।”

নসরুল হামিদ বলেন, “প্রয়োজনীয় খনন ও অন্যান্য কাজ শেষে ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।”

বর্তমানে বাংলাদেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় দুই হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আর, চাহিদা রয়েছে চার হাজার এমএমসিএফডি। চাহিদা মেটাতে প্রায় ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। ঘাটতি থাকছে প্রায় এক হাজার এমএমসিএফডি।

XS
SM
MD
LG