অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মোদী তথ্যচিত্র নিয়ে বিবিসি-কে আইনি নোটিস পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট


দিল্লি হাইকোর্ট
দিল্লি হাইকোর্ট

ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ বা বিবিসিকে নোটিস ধরাল ।

দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গুজরাত-কেন্দ্রিক অসরকারি সংস্থা বা এনজিও ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’। তাদের দাবি, এই তথ্যচিত্র ভারতের জনসাধারণকে অপমান করেছে। এই তথ্যচিত্রের বক্তব্যে দেশের সম্মান, বিচারব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের পক্ষেও হানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে এনজিওর হয়ে সওয়াল করেন। জবাবে দিল্লি হাইকোর্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে। তবে এখনই তা নিয়ে বড় কোনও বিতর্ক হবার সম্ভাবনা কম। বিচারপতি শচীন দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে মামলাটির শুনানি হবে।

এই বছর জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই তথ্যচিত্রকে ঘিরে ছিল তুমুল বিতর্ক। শুরুতে এটি ‘বিবিসি টু’ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবার কথা ছিল। ভারতে সম্প্রচারের কোনও পরিকল্পনা ছিল না বিবিসির। কিন্তু এই তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তথ্যচিত্রটির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়, টুইটার এবং ইউটিউবকেও এটি দেখানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এর প্রতিবাদ করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও ছাত্রসংগঠন। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম জুড়ে এর ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়ে।

বিভিন্ন পক্ষ বিচার চেয়ে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। ‘হিন্দু সেনা’-র তরফে রীতিমতো বিবিসি-র বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ একে পুরোপুরি ‘মেরিটলেস’ বলে বাতিল করে। তাতেও রেশ কাটেনি। ফেব্রুয়ারি মাসে বিবিসি-র নয়াদিল্লির দফতরে তল্লাশি শুরু করে বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের আয়কর দপ্তর।

XS
SM
MD
LG