যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সোমবার আবার ওভাল অফিসে সরকারের ঋণ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠক করেছেন। সরকার প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপির জন্য আসন্ন সময়সীমার দিকে মনোযোগ রাখা সত্ত্বেও আবার কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন সোমবার কংগ্রেস নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন যে সরকার ১ জুনের মধ্যে ঋণ খেলাপি হতে পারে । তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সেই সময়ের কাছাকাছি পর্যন্ত অপেক্ষা করাও "ব্যবসা এবং ভোক্তাদের আস্থার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, করদাতাদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যয় বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিংকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।“
সোমবার বাইডেন ও ম্যাকার্থি আরেকটি বৈঠকে বসলে প্রেসিডেন্ট বলেন, পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বড় ধরনের পরিণতি হতে পারে।
ঋণ আলোচনার জন্য বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে ওয়াশিংটনে ফিরে আসার বাইডেন বলেন, "আমেরিকান জনগণের অর্থনৈতিক কল্যাণে সত্যিকারের আঘাত হানবে। প্রকৃতপক্ষে, বাকি বিশ্বের জন্যেও।“
বাইডেন এবং ম্যাকার্থি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে তিনবার বৈঠক করেছেন, কিন্তু প্রতিবারই চুক্তি ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ম্যাকার্থি সোমবার জানান, তাদের মধ্যে সমাঝোতা না হলেও অন্যান্য অনেক ব্যাপারে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। দুই দলই আলোচনা চালিয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেস নেতারা দেশের ঋণের সীমা ৭৮ বার বাড়ানোর জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছেন, যেখানে কোনও পক্ষই ফেডারেল বাজেটের জন্য তাদের ইচ্ছার তালিকায় সবকিছু পায়নি।
এ বছর হাউসে রিপাবলিকানরা সরকারের ব্যয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ কর ফাঁকি বন্ধ এবং সীমিত ব্যয় হ্রাস চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে।
রিপাবলিকানরা সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত সমর্থ দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ বাড়াতে চান। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা বলছেন যে এই ধরনের প্রস্তাবের অধীনে কয়েক লাখ লোক এখন যে সুবিধা পাচ্ছে তা হারাতে পারে।
ওয়াশিংটনের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলাররা সোমবার বলেছেন, ঝুঁকি অনেক বেশি।
এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।