নৈসর্গিক ডাল হ্রদে খোদাই করা কাঠের শিকারা নৌকায় ভ্রমণ। স্থানীয় সঙ্গীতের তালে ঐতিহ্যবাহী নাচ। সমস্তই নয়াদিল্লির কাশ্মীরে জি টুয়েন্টি প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানোর প্রচেষ্টার অংশ। হিমালয়ের কোলের এ অঞ্চলটি নিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে ভারতের বিরোধ রয়েছে।
ভারত যখন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কাশ্মীরে তৃতীয় জি টুয়েন্টি পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আয়োজন করে স্বাভাবিক পরিবেশ দেখানোর চেষ্টা করছিল এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বিভক্ত ভূখণ্ডের অন্য পাশে একটি প্রতিবাদ প্রচারণা চালান, তখন ৭৫ বছরের পুরনো দ্বন্দ্ব অস্পষ্ট দেখাচ্ছিল।
এই বছর জি টুয়েন্টির সভাপতি হিসেবে নয়াদিল্লি সারা দেশে প্রায় ১০০টি ইভেন্টের আয়োজন করছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিতর্কিত ভূখণ্ডের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে পর্যটন সম্মেলন আয়োজনের পাকিস্তানের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দক্ষিণ এশীয় পারমাণবিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিতর্কিত এই অঞ্চলে তিনটি যুদ্ধ করেছে। ১৯৪৮ সালে সমস্যাটি সমাধানের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের রূপরেখা প্রদান করে। সেটি কখনোই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে বেশিরভাগ দেশ পর্যটন সম্মেলনে স্থানীয় কর্মী পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের মিত্র চীন, সৌদি আরব, মিশর এবং তুরস্ক এই সম্মেলন এড়িয়ে যায়। তবে শুধুমাত্র চীন তাদের নিন্দা জারি রেখেছে। চীনের তার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।