অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের রণতরী বিক্রান্ত-এর ডেকে রাতে সফল ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ করল অত্যাধুনিক মিগ-২৯কে


ভারতের রণতরী এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে সফলভাবে ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ করল যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগের যুদ্ধবিমানটিকে তার গতি কমিয়ে শূন্যতে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে মাত্র আড়াই সেকেন্ড। যে Band রণতরীর ডেকে অবতরণ করা সহজ ব্যাপার নয়। আর মিগ-২৯কে অবতরণ করেছে রাত্রিবেলা, যা আরও কঠিন। সীমিত পরিসরে কমসময়ের মধ্যে গতি কমিয়ে অবতরণ করতে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর যেখানে রণতরী আর যুদ্ধবিমান দুইই শক্তিশালী।

ভারতীয় নৌসেনা বলছে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ তৈরি করেছে আইএনএস বিক্রান্ত ও মিগ-২৯কে ফাইটার জেট। আইএনএস বিক্রান্ত-এর মতো রণতরীর ডেকে সফলভাবে অবতরণ করার যোগ্যতা অর্জন করল যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও এক কদম এগনো গেল বলেই মনে করছেন নৌসেনার কম্যান্ডাররা।

মিগ-২৯কে ফাইটার জেটের আধুনিক ভ্যারিয়ান্টে এমন সেন্সর ও ক্যামেরা লাগানো আছে যা রাত্রিতেও কাজ করতে পারে। যে কোনও পরিবেশ ও আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে টার্গেটে আঘাত করতে পারে মিগের এই নয়া ভ্যারিয়ান্ট। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার গালওয়ান ও গোগরা হটস্প্রিংয়ে বিতর্কিত পেট্রোলিং পয়েন্টগুলোতে রাতেও কড়া নজরদারি রাখতে পারবে এই যুদ্ধবিমান। আর লেহ এয়ারবেস থেকে খুব দ্রুত এলএসি-তে চলে আসাও সম্ভব মিগের।

আধুনিকীকরণের আগেও অবশ্য কারগিল যুদ্ধের সময় নিজের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছিল মিগ-২৯। আকাশ দখলের লড়াইতে পাকিস্তান বাহিনীর থেকে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল ভারত। তার মূল কারণ ছিল মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানই। ১৯৯৯-এর পাক যুদ্ধ সামলে দিলেও তার পর থেকেই আধুনিকীকরণের অভাবে ধুঁকতে শুরু করেছিল ভারতের মিগ ২৯ বিমানগুলি। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আধুনিকীকরণের কাজ। এখন আরও নিখুঁত ও শক্তিশালী মিগের নতুন ভার্সন মিগ-২৯কে।

নৌবাহিনীর অফিসাররা বলছেন, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো মিগ যুদ্ধবিমানের ন্যাভাল ভার্সনকে এই রণতরীর ডেকে অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং করানোর জন্য অনেকদিন থেকেই চেষ্টা চলছিল। সেই মিশন সফল হল। এই অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং ছিল পরীক্ষামূলক। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে এই লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টকে আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে ল্যান্ড করনো হবে। আর তা সফল হলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি যে বেশ কয়েক গুণ বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

XS
SM
MD
LG