অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় ভারতের উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ: দাম্পত্যে যৌনতায় ধারাবাহিক অনীহা মানসিক নির্যাতনের সমান


ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট
ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট

বিবাহ বিচ্ছেদের একটি খোরপোশ সংক্রান্ত মামলায় তাৎপর্যপূর্ন পর্যবেক্ষণ রাখল ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট । বিচারপতি সুনীত কুমার ও বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের বেঞ্চ স্পষ্ট বলেছে, দাম্পত্যে কোনও স্ত্রী বা স্বামী যদি কেউ একজন অন্যজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যৌনতায় অনীহা দেখান, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে অস্বীকার করেন তাহলে তা মানসিক নির্যাতনের সমান।

যে মামলায় এই পর্যবেক্ষণ রেখেছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চ তা অনেক পুরনো। এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। কিন্তু কয়েক বছর পরে স্ত্রী স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। স্বামীর দাবি, বহুবার বুঝিয়েও স্ত্রীকে ফেরাতে পারেননি।

এরপর শেষপর্যন্ত ১৯৯৪ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয়। সেই সময়ে আদালত ডিভোর্স মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল, স্ত্রীর হাতে প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা করে দিতে হবে স্বামীকে।

বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী ফের একটি বিয়ে করেন। তারপর ওই খোরপোশের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। ডিভোর্সের মূল মামলাটি হয়েছিল এলাহাবাদের একটি পারিবারিক আদালতে।

স্বামীর তরফে আদালতে বলা হয়, স্ত্রী যৌনতায় রাজি হতেন না। দিনের পর দিন সেটাই দস্তুর হয়ে উঠেছিল। বিয়ের পর সাকুল্যে তাঁরা বার চারেক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে স্বামী দাবি করেন আদালতে। সমস্তটা শুনে মনস্তাত্বিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করে আদালত।

দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, দাম্পত্য মানে কেবল শারীরিক সম্পর্ক নয়। আবার শারীরিক সম্পর্ক ব্যতিরেকে সুস্থ দাম্পত্য হয় না। সেদিক থেকে ধারাবাহিকভাবে স্বামী বা স্ত্রী যদি তাঁর বিপরীতে থাকা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতায় অনীহা দেখান তাহলে তা ভয়ঙ্কর। যিনি এই অনীহা দেখাচ্ছেন, তাঁর উল্টোদিকের মানুষটির কাছে তা মানসিক নির্যাতনের সমান।

XS
SM
MD
LG