ভারতে রবিবার ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় ২০টি বিরোধী দল অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশের সাংবিধানিক প্রধানকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলা খারিজই করে দিল শীর্ষ আদালত।
এদিন বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ স্পষ্ট বলেছে, কেন, কী কারণে এই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা আদালত অনুধাবন করতে পারছে। সেইসঙ্গে তারা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলেছে, এই মামলা আদালত গ্রহণ করছে না। অতএব মামলাটিই খারিজ হয়ে গিয়েছে।
সওয়াল করতে গিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী জয়া সুকিন বলেছেন, সংবিধানের ৭৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিই দেশের সাংবিধানিক প্রধান। সংসদের অধিবেশন শুরু, বিল পাশের পর অনুমোদন—সবকিছুতেই রাষ্ট্রপতির ভূমিকা রয়েছে। তাঁকে বাদ দিয়ে সংসদ ভবনের উদ্বোধন গণতান্ত্রিক নয়।
বিরোধীরাও গোটা বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মম্ভরিতা, স্বৈর মনোভাবের কথা বলেছে। বুধবার ১৯টি দল যৌথ বিবৃতিতে সই করে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কটের কথা জানিয়েছিল। শুক্রবার তা বেড়ে হয় ২০। কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সই না করলেও তেলেঙ্গানার শাসকদল বিআরএসও জানিয়েছে তারা যাবে না।
অন্যদিকে ১৯টি দল জানিয়েছে তারা থাকবে। বিদেশ সফর থেকে ফিরে পালাম বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট-এর জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেওয়া বিতর্কের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কিছুটা স্বস্তির বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।