ভারতের কুস্তি ফেডারেশন-এর প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন ভারতের কুস্তিগিররা। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। পকসো আইনের আওতায় দিল্লি পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্তও করছে। কিন্তু সেই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে ‘পকসো আইন’-ই পাল্টে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রিজভূষণ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। দেশের প্রায় অধিকাংশ কুস্তিগিররা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান সেই সময়। সেই বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্র সরকার ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেন। কিন্তু তা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ফের এপ্রিল মাস থেকে পথে নেমেছেন কুস্তিগিররা।
কুস্তিগিরদের দাবি, অবিলম্বে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আটক করা হোক ব্রিজভূষণকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে। যার মধ্যে একটি হয়েছে পকসো আইনের আওতায়।
এই নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল। সেইসময় অযোধ্যার রামকথা পার্কে ‘চেতনা মহাসভা’র আয়োজন করছেন এই বিজেপি সাংসদ। সেই সভার আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের সাধুসন্ত ও সমাজকর্মীরা।
সভার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "দেশে পকসো আইনের অপব্যবহার চলছে। এই আইনের ফলে বৃদ্ধ, সাধুসন্ত অনেকেই ভুক্তভোগী হচ্ছেন। এবার এই আইন বদলানোর সময় এসেছে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে হবে এই আইন পাল্টানোর জন্য।"
ব্রিজভূষণের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, পকসো আইন পরিবর্তনের এই দাবি কোনও সাধারণ মানুষ নয়, করছেন শাসক দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা সাংসদ যাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৬০টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে।