দুটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে, নতুন একটি আইনি মূল্যায়ন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের প্রতি তালিবানের আচরণ “লিঙ্গ নিপীড়ন সংশ্লিষ্ট মানবতা বিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পৌঁছেছে”; আর বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তদন্ত করা উচিত।”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ জুরিস্ট (আইসিজে) শুক্রবার তাদের ৬২ পৃষ্ঠার যৌথ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবান প্রায় দুই বছর আগে আবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে নারী ও মেয়েদের “মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা” কেড়ে নিয়েছে।
নথিতে, সংঘাত-জর্জরিত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের চলমান তদন্তে “ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন” অন্তর্ভুক্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
মৌলবাদী সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সেনারা তালিবানের সাথে তাদের যুদ্ধের ইতি টানে এবং প্রায় দুই দশক পর দেশটি ছেড়ে চলে যায়।
আফগানিস্তানের প্রকৃত কর্তৃপক্ষ সে সময় থেকে নারীদের ওপর ব্যাপক হারে আইন ও বিধি আরোপ করেছে। তারা, বেশিরভাগ সরকারি সেক্টর এবং রাজনৈতিক ভূমিকা থেকে নারীদের বাদ দিয়েছে এবং মেয়েদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশি শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
প্রধানত মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ এবং নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তালিবান যুক্তি দেখায় যে তাদের শাসন আফগান সংস্কৃতি এবং শরিয়া বা ইসলামী আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর, এ বিষয়ের সঙ্গে তারা কোন আপস করে না।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রানসংস্থা বলছে, তাদের আফগান নারী কর্মীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এমন একটি দেশে তাদের কার্যক্রম ক্ষুণ্ণ করেছে; যেখানে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।